অপিল বিভাগে আদেশ স্থগিত: ৩ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই
- By Jamini Roy --
- 29 January, 2025
বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) এবং ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টর (দশম গ্রেড) পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে হাইকোর্টের স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত আদেশ দিয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। এর ফলে, এই ৩ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই।
গত ২৭ জানুয়ারি, হাইকোর্টের বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) বা ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টর (দশম গ্রেড) পদে সাড়ে ৩ হাজার জনের নিয়োগ স্থগিত করার আদেশ দেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, যার ফলে হাইকোর্ট রুলও জারি করেন।
নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি এবং প্রশ্ন বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছিল, যার ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট দাখিল করা হয়। রিটে ১৮ জন পরীক্ষার্থী নিয়োগের বিরুদ্ধে আবেদন করে। তারা অভিযোগ করে যে, নিয়োগ পরীক্ষায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রশ্ন বিক্রি করেছে এবং জালিয়াতি হয়েছে। এই অভিযোগের তদন্তের জন্য সিআইডিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) বা ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টর (দশম গ্রেড) পদে নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। এতে ৪৪টি ক্যাটাগরিতে সাড়ে ৩ হাজার জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। তবে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রমের কারণে আদালতে রিট দায়ের করা হয়।
আপিল বিভাগ এই বিষয়ে আদালতের রুল নিষ্পত্তি করতে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নির্দেশ দিয়েছে। এর মাধ্যমে, সাড়ে ৩ হাজার জনের নিয়োগের বিষয়ে আইনি বিতর্কের সুরাহা করা হবে। আদালত এ বিষয়ে সিআইডিকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে।
এই ঘটনায়, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর নজর রাখা হবে এবং তদন্তের ভিত্তিতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, আপিল বিভাগের আদেশের পর, নিয়োগে কোনো বাধা আর নেই এবং প্রার্থীরা তাঁদের পদে যোগদান করতে পারবেন।